⭐স্টেপ-①[১.]এফিলিয়েট মার্কেটিং বা এফিলিয়েশন/রেফারেল প্রোগ্রাম কি ও কিভাবে কাজ করে?
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই ভালো আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি.
একদম ফ্রিতে. সবার জন্য
অনলাইনে আয়, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ফ্রি-লেন্সিং কি?
যদি সহজ করে আমার ভাষায় যদি বলি তা হলঃ অন্য মানুষ বা কম্পানির কোন পন্য বিক্রয় করে দিয়ে, সেই বিক্রিত মূল্য থেকে একটা কমিশন নেওয়াই এফিলিয়েট মার্কেটিং।
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো আপনি কোন প্রডাক্ট বিক্রয় করতে কাওকে সাহায্য করছেন।মনে করেন আপনার কিছু প্রডাক্ট রয়েছে অনলাইন ভিত্তিক বা অফলাইন যেখানেই হোক আপনাকে আমি বিক্রয় করতে সাহায্য করলাম। মানে আমি আপনাকে একজন ক্রেতা খুজে দিলাম বিনিময়ে আপনি আমাকে কিছু কমিশন দিলেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং/এফিলিয়েশন/ ফর্ম পূরন করানো, রেজিস্টেশন/সাইনআপ করানো, বিভিন্য অ্যাপস,সফটওয়ার,ফাইল ডাউনলোড করাতে পারেন. এটার উপর একটা কমিশন পাবেন।
আরো সহজভাবে বললে এফিলিয়েট প্রোগ্রামটি হচ্ছে অন্য কোন কোম্পানীর হয়ে প্রচার করা।
আর উইকিপিডিয়ার ভাষায় এফিলিয়েট মার্কেটিং হলঃ
“Affiliate marketing is a type of performance-based marketing in which a business rewards one or more affiliates for each visitor or customer brought about by the affiliate’s own marketing efforts.”
আর উইকিপিডিয়ার ভাষায় এফিলিয়েট মার্কেটিং হলঃ
“Affiliate marketing is a type of performance-based marketing in which a business rewards one or more affiliates for each visitor or customer brought about by the affiliate’s own marketing efforts.”
আসলে এফিলিয়েট মার্কেটিং আমাদের প্রচলিত মার্কেটিং এর মত হলেও এখানে কাজ করার ও আয় করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
কি কাজ করতে হবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ ?
হ্যা আপানি যদি কোন কম্পানির এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তবে তার আগেই আপনাকে পার্মিশন/অনুমতি, রেজিস্টেশন করে নিতে হবে। অনুমতি মানে আপনি যে ওদের এফিলিয়েট করছেন সেটাত ট্রাক করা দরকার নাইলে কিভাবে বুঝা যাবে যে আপনি এফিলিয়েশন করছেন, তাই অনুমতি নিতে হবে, আর অনুমতি Account মিললে ওরা আপনাকে একটা বিশেষ ভাবে গঠিত লিংক দিবে যাতে করে কেউ ঐ লিংকে ক্লিক করলে আপানার হিসেবে জমা হয়।
এখন প্রাপ্ত বিশেষ লিংক সহ সংস্লিস্ট পন্যের প্রচার করা আপনার কাজ, যত বেশি প্রচার করবেন তত বশি সেল হবে তার মানে তত বশি আয়।
এখন প্রাপ্ত বিশেষ লিংক সহ সংস্লিস্ট পন্যের প্রচার করা আপনার কাজ, যত বেশি প্রচার করবেন তত বশি সেল হবে তার মানে তত বশি আয়।
তবে বাস্তবে কয়েক ধরনের এফিলিয়েশন হয়ে থাকে।যথাঃ
১.পে-পার-সেল (বিক্রয় হলে তবেই টাকা পাবেন)
2.পে-পার-লোড (বিক্রয় না হলেও ভিজিটর যদি কোন ফর্ম পূরন করে, রেজিস্টেশন/সাইনআপ করে, বা ভিজিটর আনলে, ডাউনলোড করলে, এমনকি অন্য কোন কিছু করে তাতেই হবে, তবেই টাকা পাবেন)
*ড্রাইভিং ভিজিটর (বিক্রায় বা কোন কাজ না করলেও শুধু ভিজিটর ভিজিট করলেই হবে, তবে এই পদ্ধতি খুব সহজ)
এছাড়াও কিছু সাইট আছে যাদের এফিলিয়েশন এর জন্য ভাল মানের ভিজিটর সহ ভাল মানের ওয়েব সাইট থাকা একান্ত দরকার, আবার কোন কোন প্রডাক্টের জন্য নরমাল ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগারের ব্লগ থাকলেই চলে
আবার কেউ কেউ আছে যে তাদের জন্য কোন ব্লগ বা ওয়েব সাইট থাকার কোন প্রযোজন ই নাই, তবে সেক্ষেত্রে ভাল মানের ইমেইল মার্কেটিং বা ফেজবুক বা টুইটার একাউন্ট বা লিংকেদিন গ্রুপ থাকা দরকার।
তাই এ কাজটি একেবারে সহজ মনে করার কারন নেই। প্রথমত যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতে চান তবে সেখানে ভিজিটর আনার ব্যবস্থা করতে হবে, তার মানে আপনার সাইটের প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
###আসল কথা আপনাকে ভিজিটর আনা লাগবে, সেটা যেই উপায়ে হক।, যাতে আপনার, কম্পানির বা অন্য মানুষের কোন পন্য বিক্রয় হয়, বা, ভিজিটররা যেন কোন ফর্ম পূরন করে, রেজিস্টেশন/সাইনআপ করে, বা ভিজিট করে, ডাউনলোড করে, এমনকি অন্য কোন কিছু করে ভিজিটররা তাতেই হবে।
কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং বা এফিলিয়েশন/রেফারেল প্রোগ্রাম শুরু করতে হবে?
হ্যা কোন কাজে সফলতা পেতে আমাদের আবশ্যই কস্ট করতে হবে। আর এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এ ও প্রথমিক পর্যায়ে অনেক কস্ট করতে হবে, প্রথম প্রথম সব থেকে বড় কস্ট হবে যেঃ “কস্ট হবে কিন্তু অল্প আয় হবে,। আর যে এই প্রথম কস্ট টাকে সাফল্যের সাথে পাড়ি দিতে পারবে তিনিই হবে সত্যি কারের সফল এফিলিয়েট প্রমোটার ।
সত্যি কথা বলতে কি এই লাইনে এসে মোর দ্যান ৯৮% মানুষ কিন্তু ব্যার্থ। তবে যারা সফল তারাও কিন্তু সেভাবে আয় করেছেন ও করছেন। আর এমন কিছু বাংলাদেশি ভাই আছেন যারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের জিনিস পত্রের এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন, কি নাই তাদের লিস্টে, হীরার গহনা থেকে শুরু করে ব্যাংক লোন, কার লোন বা সামান্য অনলাইনে টিভি দেখার প্রোগ্রাম। তাই চলুন দেখা যাক কিভাবে আপনিও শুরু করবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনাকে প্রথমেই আপনার জন্য সঠিক এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রডাক্ট বেছে নিতে হবে সাফল্যের সাথে।এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন।
আপনি যদি ভূল প্রডাক্ট নিয়ে সামনে আগান তবে সাফল্য অনেক দুরে। যেমন আপনি যদি ক্যামেরা বা ডিজিটাল প্রডাক্টস নিয়ে ভাল অভীজ্ঞ হন আর এই ক্যামেরা বিষয়ক আর্টিকেল লিখাতে পটু হন তবে আপনি ডিজিটাল ক্যামেরা জাতীয় প্রডাক্ট নিয়ে আগাতে পারেন, কিংবা যদি আপনার শিক্ষা বিষয়ক একটা ওয়েবসাইট থাকে তাহলে অনলাইন ইউনিভার্সিটির এফিলিয়েশন নিতে পারেন, বা আপনার যদি ডাক্তারি লাইনের অভীজ্ঞতা থাকে বা আপনি যদি ডাক্তার হন আর স্বাস্থ বিষয়ক টিপস লিখতে পারেন, তবে এই যে কোনো টপিক নিয়েও কাজ করতে পারেন।
মোট কথা এটা নির্ভর করবে আপনার উপরেই।
কিছু সাইট আছে যারা সরাসরি প্রডাক্টস বিক্রয় করে ও তাদের এফিলিয়েট প্রগ্রাম আছে আর কিছু সাইট আছে যারা নিজেরা কিছু বিক্রয় করে না কিন্তু বিক্রেতা ও এফিলিয়েটরদের মিলন ঘটায়, এই বিষয় টি ও মাথায় রাখা দরকার।
যেমন ই-বে, ওরা নিজেরাই পন্য বিক্রয়ের সাথে জড়িত কিন্তু ক্লিক ব্যাংক কোন কিছুই নিজের বিক্রয় করে না। তাই বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট খুজে দেখুন কি জাতীয় প্রডাক্টস সেল হচ্ছে, সেখান থেকেও আইডিয়া নিতে পারেন।
যেমনঃ এমাজন, ই-বে, ক্লিক ব্যাংক, কমিশন জাংশন বা শেয়ারশেল। তবে আমাদের দেশের জন্য মানে বাংলাদেশের জন্য কিছু কিছু বড় বড় এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইটের একাউন্ট খুলার কোন অপশন নাই। কিন্তু আপনার কোন পরিচিত জন যদি বিদেশে থাকে তবে আপনাকে তার সাহায্য নিতে হবে এখানে একাউন্ট খুলার জন্য।
গুগলে সার্স করে দেখুন। যদি আলরেডি আপনার একটা সাইট থেকে থাকে তবে গুগলে খুজে দেখুন যে আপনার সাইটের কোন কিওয়ার্ডের কোন প্রডাক্ট এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইটের মাধ্যমে বিক্রয় হয় কিনা। সার্স করতে লিখুন “your keyword + Affiliate Program”। your keyword এর স্থানে আপনার কি ওয়ার্ড দিন।
বিভিন্ন অনলাইন সাইটে খুজে দেখুনঃ আজকাল সব বড় বড় অনলাইন শপেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ব্যাবস্থা থাকে, যেমনঃ ইবে, এম্যাজান, সেখানে একটা ফ্রি একাউন্ট করে নিন। যদিও এখানে কমিশনের রেট খুব কম তবে নিয়মিত কাজ করলে সাফল্য আসবেই। তবে এখানে বেশ কিছু সুবিধা আপনি পাবেন, যেমনঃ হয়ত একটা মুভী কেনার জন্য ভিজিটরকে এম্যাজানে পাঠালেন কিন্তু তিনি মুভীটা কিনলেন না, কিন্তু পরের দিন এম্যাজান থেকে একটা “স্যামসাং নোট২” কিনলেন, আর মজার ব্যাপার হল আপনি এই ” স্যামসাং নোট২” কেনার কারনে এম্যাজান যে প্রফিট করেছে তার একটা কমিশন আপনিও পাবেন।
যেমনঃ এমাজন, ই-বে, ক্লিক ব্যাংক, কমিশন জাংশন বা শেয়ারশেল। তবে আমাদের দেশের জন্য মানে বাংলাদেশের জন্য কিছু কিছু বড় বড় এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইটের একাউন্ট খুলার কোন অপশন নাই। কিন্তু আপনার কোন পরিচিত জন যদি বিদেশে থাকে তবে আপনাকে তার সাহায্য নিতে হবে এখানে একাউন্ট খুলার জন্য।
গুগলে সার্স করে দেখুন। যদি আলরেডি আপনার একটা সাইট থেকে থাকে তবে গুগলে খুজে দেখুন যে আপনার সাইটের কোন কিওয়ার্ডের কোন প্রডাক্ট এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইটের মাধ্যমে বিক্রয় হয় কিনা। সার্স করতে লিখুন “your keyword + Affiliate Program”। your keyword এর স্থানে আপনার কি ওয়ার্ড দিন।
বিভিন্ন অনলাইন সাইটে খুজে দেখুনঃ আজকাল সব বড় বড় অনলাইন শপেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ব্যাবস্থা থাকে, যেমনঃ ইবে, এম্যাজান, সেখানে একটা ফ্রি একাউন্ট করে নিন। যদিও এখানে কমিশনের রেট খুব কম তবে নিয়মিত কাজ করলে সাফল্য আসবেই। তবে এখানে বেশ কিছু সুবিধা আপনি পাবেন, যেমনঃ হয়ত একটা মুভী কেনার জন্য ভিজিটরকে এম্যাজানে পাঠালেন কিন্তু তিনি মুভীটা কিনলেন না, কিন্তু পরের দিন এম্যাজান থেকে একটা “স্যামসাং নোট২” কিনলেন, আর মজার ব্যাপার হল আপনি এই ” স্যামসাং নোট২” কেনার কারনে এম্যাজান যে প্রফিট করেছে তার একটা কমিশন আপনিও পাবেন।
##আরো সহজ সাইট আছে যে গুলোতে, ফর্ম পূরন করানো, রেজিস্টেশন/সাইনআপ করানো, বিভিন্য অ্যাপস,সফটওয়ার,ফাইল ডাউনলোড করাতে পারেন. এটার উপর একটা কমিশন পাবেন।
এখন আপনি ই সিদ্ধান্ত নিন যে কোন প্লাট র্ফমে কোন প্রডাক্টস নিয়ে কাজ করে সাফল্য পেতে চান। হ্যা যারা এফিলিয়েটেড মার্কেটিং এর সুযোগ দেন তাদের প্রত্যেকের বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা থাকে। ব্যানার বিজ্ঞাপন, টেক্সট লিংক ইত্যাদি আপনার পছন্দমত ব্যবহার করতে পারবেন।আর এখন আপনার মূল কাজ প্রচার ও প্রসার ঘটা্নো ।
বিশেষ দ্রব্যস্টঃ সবচেয়ে সহজ ভাবে, একদম ফ্রীতে, পরিস্রম করে..
কিভাবে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম/এফিলিয়েশন //মার্কেটিং করে ইনকম/আয় করবেন, সমপুর্ণ টিউটোরিয়াল
ধারাবাহিক ভাবে টিউন পাবলিশ করা হবে, আমাদের Bn-TeamITwork ওয়েবসাইটে।
Post a Comment